Monday, January 21, 2013

নিঃসঙ্গ

আমি কারও বন্ধু নই, কেউ আমার না,
হৃদয়ের মাঝারে ফুঁপিয়ে ওঠে বোবা কান্না,
আর কত এই ভালবাসার থ্যালাসেমিয়া ?

 tanv.nk.0011

অপেক্ষায় ...

তোমায় ছুঁয়ে আসে বিষম মাতাল হাওয়া....
কি যে কষ্ট ! আজও  দূর্বোধ্য সেই চলে যাওয়া !
ফিরলে না , আজও কেন ফিরলে না ?
উপসংহার নেশায় আমার দিগন্ত ছোঁয়া অপেক্ষা ।

 tanv.nk.0010

জীবনের ওপিঠ

জীবন মানে নিয়ত জ্বলে;
পুড়ে পুড়ে মৃত্যুকে নিমন্ত্রন ।
পূবাকাশে রবির উদয় বিদায়েরই বারতা ।

জীবন মানে একটা আশার;
ভালবাসার করুন মৃত্যু ।
ও ঠোঁটে হাসির রেখা, প্রেমের যবনিকা ।

জীবন মানে আমি আর তুমি;
আঙ্গুলের বাঁকে শত খুঁনসুটি ।
এসেছ, হারাবার অনুক্ষন উৎকন্ঠ অপেক্ষা ।

দীর্ঘশ্বাস!!!-২


কেউ নেই এখন আর আমার

অনেক দুঃখে,

একটু জড়িয়ে ধরে কাঁদার ।

এই বোবাকান্না যাকে হারিয়ে,
বোকামন তাকেই ধরতে চায় জড়িয়ে !

 tanv.nk.09

Sunday, January 20, 2013

নিঃসঙ্গ

আমি কারও বন্ধু নই, কেউ আমার না,
হৃদয়ের মাঝারে ফুঁপিয়ে ওঠে বোবা কান্না,
আর কত এই ভালবাসার থ্যালাসেমিয়া ?


tanv.nk.08

Wednesday, January 16, 2013

স্বাগত তোমার এই পাশে থাকা

আমাদের পৃথিবী আজ থমকে গেছে
রঙধনু দেখিনি বহুকাল
শরতের তুলো মেঘ
আর উড়ন্ত বলাকা ।

আমাদের পৃথিবী আজ থমকে গেছে
মাঝদুপুরে বিদ্যুতের ঝিলিক
বিলের জলে শালুক
আর আষাঢ়ের অঝর ধারা ।

বেমালুম, তুমি ছিলে
এইতো পাশেই
তবুও কেন
আমাদের পৃথিবী আজ থমকে গেছে ?

তোমাকে পেয়েছি বহুকাল পরে
এসেছ কি আবার তাহলে
স্তব্ধ এ চরাচরে
বইয়ে দিতে আনন্দধারা !?


স্বাগত তোমার এই পাশে থাকা

বোবাকান্না



আমাকে এভাবে রেখে,

       কোথায় হারিয়ে গেলে ?

ফিরবে কি আর,
   কোনদিন পথ পথভুলে ?
 
 tanv.nk.07

Sunday, January 13, 2013

যোগফল শূন্য, গুনফলও শূন্য

সেই ছোটবেলায় মায়ের মুখে শুনে শুনে প্রথম গুনতে শেখা । তারপর স্কুল-কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় । যোগ-বিয়োগ, গুন-ভাগ, সুদ কষা, সরল, ঐকিক পেরিয়ে রসায়নের জারন-বিজারন আর পদার্থবিজ্ঞানের কত শত জটিল হিসাব শিখেছি । বাবা-মায়ের কোন বৈশিষ্ট কোন পুরুষে কিভাবে আবির্ভাব হবে – জীববিজ্ঞানের এমন মজার ধাঁধার জট খুলতে শিখেছি ।
কিছু সরল হিসাব কেন যেন কোনদিন মেলাতে পারি না । এই হিসাব জীবনের, ছোট ছোট আনন্দের, অনেক ব্যস্ততার মাঝে এতটুকু অবসরের । এই হিসাব শরৎ আকাশের তুলো মেঘের, দিগন্তজোড়া খোলা মাঠের, সবুজ ঘাসের ওপর চিকচিক করা সোনা রোদের । এই হিসাব রাতের আকাশে তারার মেলার, টিনের চালে সুমধুর বৃষ্টির গান আর ক্ষেতের আলে আমের ডালে দুরন্ত কিশোরবেলার অনাসৃষ্টির ।
আজকাল জীবনের হিসেবটা কেন যেন এলোমেলো-খাপছাড়া, জটিল অংকের সরল নামের মতো । এখন আমাকে আমার চেয়ে বেশী ওজনের বইয়ের বোঝা নিয়ে চলতে হয় । বাসায় ফিরে গানের টিচার, তারপরই বাগীর কাজ, বিজ্ঞান-বাংলা-অংক । নইলে আগামী ক্লাসে পিছিয়ে পরব । পরশু আবার সাপ্তাহিক পরীক্ষা । এ ক্লাস মিস্ করা চলবে না, তবে তো গড় হিসেবে অনেকের পিছনে চলে যাব । বার্ষীকী শেষ হলে আরও ভাল স্কুলের জন্য ভর্তিযুদ্ধের সৈনিক হতে হবে । তাই এবারও নানাবাড়ী যাওয়া হবে না আম্মুর । এভাবেই দিন হারিয়ে যায় – স্কুল, কলেজ তারপর বিশ্ববিদ্যালয় । চোখ মেলে আকাশটা দেখা হয়না কোনদিন, কান পেতে শেখা হয়না বৃষ্টির ফোটায় পাতার গান ।
সুসময় আসবে এ ভাবনায় অবশেষে ছাত্রত্বের অবসান – বইয়ের বোঝা নয় এ যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচা । পিঠে বইয়ের ওজন নেই তবে চোখের তারায় ঠাঁই নেয় বেকারত্বের হতাশা । দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভাগ্যক্রমে চাকরী মেলে আর মনের আকাশে স্বপ্নরা উঁকি দেয় । কিন্তু হায়! পাখা মেলে না । নতুন সংসার, নানা খরচ । অন্যদিকে ছোট চাকরী, আয় অপ্রতুল । এরপর জীবনের গল্প বাকী থাকে অল্প । খরচের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্লান্ত চাকরীর চাকা । তাই স্বপ্নরা জমা পরে মনের গহীন সিন্দুকে – ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য । কি নির্ম্ম পরিহাস – এখান থেকেই তো আমার যাত্রা শুরু । ভবিষ্যৎ প্রজন্ম – সে তো আমারই প্রতিচ্ছবি, একই পরিনতি ।
দুই পুরুষের যোগফল শুন্য । আদিতে শুন্য, ইতিতে শুন্য, গুনফলও শুন্য । জীবনের অংক কেন এমন হয় ?  আমরা আর কত শুন্যতে মিলিয়ে যাব ? না এভাবে আর নয় । এখনই সময় নতুন ধারার উন্মোচন করে নতুন স্রোতে জীবন তরীকে ভাসিয়ে দেয়ার । অনাগত ভবিষ্যৎ যেন তর্জনী উচিয়ে বলতে না পারে – “ তোমরা কিছুই রেখে যেতে পারনি - সব জন্জাল, সব অহেতুক ।”
জীবনের বঞ্চনা যেন তাদের না ছোঁয় এমন আগামীর দিগন্ত মেলে ধরার নতুন ধারা বহুমুখী বিপনন ব্যবস্থা । এ ধারার মোহনায় জন্ম নেয়া এক স্বপ্নদ্বীপ ডেসটিনি । স্বপ্নেরা যার পলিভুমিতে নীড় খুঁজে পায়, যার আকাশে কচি স্বপ্নরা মিুক্ত বিহঙ্গের মতো পাখা মেলে ধরে । ডেসটিনি আজ স্বপ্নহারাদের নতুন ঠিকানা, দৈন্যতায় কুঁকড়ে যাওয়া জীবনের নতুন উদ্দীপনা । এখানে জীবনের খাতাটা স্বপ্নের মতো, শুধু স্বপ্নপূরনের গুনফলে আকা ।

স্বাধীনতা এবং..

আমরা একটা স্বাধীন ভূখন্ডের অধিবাসী – এ কথা ভাবতেই গর্বে বুকটা ভরে ওঠে । হাজার সালাম সব শহীদ আত্নাকে – যারা আমাদের জন্য জীবন বিসর্জ্ন করেছিলেন । কিন্তু মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা একটা দুঃখবোধ অজান্তে দীর্ঘ্শ্বাস হয়ে মুক্তি নেয় । প্রশ্ন জাগে আমরা কি পেয়েছি স্বাধীনতা উত্তর গত হয়ে যাওয়া  প্রায় আটত্রিশ বছরে ।

সঠিকভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, সত্যিকার অর্থে আমরা অনেক পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীতে পরিনত হয়েছি । অথচ কি নেই আমাদের ? যে কোন দেশের চেয়ে আমরা অনেক সম্পদের অধিকারী । আমাদের অনেক কিছুই আছে যা অনেক উন্নত রাষ্ট্রের নেই । তবে কেন আমাদের দেশে এত বেকারত্ব, সন্ত্রাস, দূর্নীতি ? আমাদের মেধাবীরা কেন পাড়ি জমাবে ভিনদেশে, কেন তাদের উন্নয়নের কান্ডারী হবে যারা একদা আমাদের শোষন করেছিল ?

উত্তর অজানা নয় । আমরা সবই জানি-সবই বুঝি-শুধু সঠিক উপলব্ধি নেই । আসলে আমরা এখনো পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে আছি । এই পরাধীনতা মোটেই বাহ্যিক নয় । বরং পুরোটাই আত্নিক । যুগ যুগ ধরে শাসকের শোষনে, নির্যাতনে জীবন অতিবাহিত করার ফলশ্রুতিতে আমরা মানসিকভাবে পরাধীন হয়ে পরেছি । আমরা বিস্মৃত হয়েছি আমাদের পুর্বপুরুষের ঐতিহ্য, আমাদের শৌর্য্-বীর্য্ গাঁথা । বংশ পরম্পরায় আমাদের অন্তরের অন্তঃস্থলে, অস্থি-মজ্জায় গ্রোথিত হয়েছে অন্যের অধীনস্ত থাকার প্রবনতা । আমরা এখন মুক্ত-স্বাধীন চিন্তা করার ক্ষমতা পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছি ।

আমাদের জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় অংশ – সত্যিকার অর্থে প্রায় সবাই এখন চাকরী নামক একটা বাক্সে বন্দী হয়ে আছি । অন্যের চিন্তাপ্রসূত সিদ্ধান্তই নিজের অবশ্য করনীয় সেই বাক্সবাসীর । শিশুবেলায় একটু বুদ্ধি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিখিয়ে-পড়িয়ে দেয়া হয় – ভালোভাবে পড়, অনেক ভালো চাকরী করবে । কেউ বলে না – লেখাপড়া করো, মুক্ত স্বাধীন হবে, অনেক জ্ঞানী হবে । শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য যেন জ্ঞানার্জ্ন নয় – বড় চাকরী অর্জ্ন । এখানেই বিপত্তির সূত্রপাত ।

প্রায়ই যাত্রাপথে কাছে বসা অফিসযাত্রীর ফোনালাপ মনোযোগ সহকারে খেয়াল করি । প্রিয় পাঠক অন্যভাবে নেবেন না – শুধু গননা করি একজন চাকরীজীবী তার উর্ধ্বতন কর্ম্কর্তাকে কতবার স্যার, ইয়েস স্যার, জি স্যার সম্বোধন করেন । ভয় নেই সংখ্যাটা এ স্থলে উপস্থাপন করব না । শুধু এটুকুই বলবো আপনার কি এতটুকুও খারাপ লাগছে না ? মন খারাপ করবেন না । কেননা ওই উর্ধ্বতন কর্ম্কর্তাকেও আপনি কোনো এক যাত্রাপথে পেয়ে যেতে পারেন । হ্যাঁ, তাকেও কারও অধীনেই কাজ করতে হয় । এটাই স্বাভাবিক, অন্তত আমাদের কাছে স্বাভাবিক বনে গেছে । এটাই আমাদের আর্থ্-সামাজিক বাস্তবতা । আমাদের ভাবনার গন্ডী কখনই এই চাকরী-বাক্সের বাইরে আসতে পারে না । এরই নাম কি স্বাধীনতা ? একি বাক্সের আয়তন ছোট থেকে ছোটতর করা নয় – যখন আমরা ছোট চাকরী থেকে বড় চাকরীতে স্থানান্তরিত হই ?
আরেকটু অগ্রসর হওয়া যাক – এই চাকরী বাক্সের দুঃসহ গল্প থেকে । প্রিয় পাঠক একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন তো – কেন চিকিৎসা সেবা থেকে জীবিকা অন্বেষনকারী পেশাতে পরিগনিত হলো ? কিভাবে জ্ঞানদান একটি সমাজ আলোকিত করা, স্বার্থহীন কর্মকান্ড থেকে উপার্জনের পন্থায় পর্যবসিত হলো ? কখন ধর্ম্ প্রচার করা, ধর্ম্ শিক্ষা দেয়াতে ইবাদতের সঙ্গে অর্থলাভ দৃষ্টিভঙ্গি মিশ্রিত হলো ? এরকম অজস্র ধাঁধাঁর জট আমরা সহজেই খুলতে পারব একটু পেছনে ফিরে তাকালেই ।

শত শত বছর আমরা গোলামী অনুশীলন করেছি । শুধুই হুকুম তামিল করে এসেছি । কখনো ভাবিনি আমাদেরও ক্ষমতা আছে সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দেয়ার । ক্রমেই সৃষ্টিশীলতা বিস্মৃত হয়েছি । এত বছরের সৃষ্ট ধুলার চাদর সামান্য ফুঁ দিয়েই উড়িয়ে দেয়া যাবে, তা নয় । আমাদের অবশ্যই সময় নিতে হবে – নতুন চিন্তা করতে হবে – মুক্ত চিন্তা । নতুন পথ অবলম্বন করতে হবে – মুক্তির পথ । যে পথে চলতে অন্যের হুকুম তামিল করার আবশ্যকতা নেই ।

যেমনটি হেঁটেছিলাম গেঁয়ো মেঠো পথে, ছোটবেলার সেই মিষ্টি দুপুরে । সব সুখ সেখান থেকে এখনো হাতছানি দেয় । আবার আশা জেগেছে গ্রামে ফিরে যাব – যেখানে রয়েছে সবার শেকড় । প্রতিষ্ঠা করব এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে অন্যের অধীনে নয়, অন্যের ক্ষতিসাধন নয় – সবাইকে নিয়ে সুখী হব ।

এমনই এক পথের দিশা পাওয়া গেল ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড এর কাছে । এ এক অবাক ব্যাপার ! এত বছরেও যা কেউ বলতে পারেনি, করতে পারেনি তাই করার শপথ নিল একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান । হ্যাঁ, আমি ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড এর কথাই বলছি । যে প্রতিষ্ঠান একাধিক জাতীয় সমস্যা সমাধানের আধুনিকতম পরিকল্পনা সম্পন্ন করেছে । ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড একটি শিশুর নাম যার বয়স এখনও আট পেরোয়নি – তবুও অটল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই প্রানের বাংলাকে সত্যিকার অর্থে বিশ্বের দরবারে একটি উন্নততর অবস্থানে অধিষ্ঠিত করার । গত আট বছরের দৃপ্ত পদচারনাই বলে দেয় – সে পারবে – অবশ্যই পারবে । এখন তাই ডেসটিনি শুধু বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নয় বরং এটি একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে ।

সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মূল হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে ডাইরেক্ট মার্কেটিং নামক এমন একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং বিশ্বনন্দিত পন্য বিপনন ব্যবস্থা যেখানে ভোক্তা তার পন্যের চাহিদা পূর্ন্ করার পরে একটি সৎ, সম্মানজনক এবং আকর্ষনীয় উপার্জ্ন নিশ্চিত করতে পারে ।

সুপ্রিয় পাঠক হয়ত ভাবছেন, পন্য বিপনন ব্যবস্থার মাধ্যমে জাতিগত উন্নয়ন কি আদৌ সম্ভব ? স্বাভাবিক প্রশ্ন । এটি এমনই একটি আধুনিক, বিজ্ঞানসম্মত এবং শক্তিশালী বিপনন ব্যবস্থা যেখানে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হয়েছে । অচিরেই সম্পৃক্ত করা হবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ইআরপি (এন্টারপ্রাইজ রিসোর্সিং প্রোগ্রাম)।

এই বিপনন ব্যবস্থায় সমাজের ভোক্তাশ্রেনী (জাতি-ধর্ম্-বর্ন্-লিঙ্গ-পেশা নির্বিশেষে) নিজেদের এক অতুলনীয় জীবনধারায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারে । যেখানে অন্যকে সহযোগীতাই ব্যক্তিগত উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে । কারো অধীন না হয়ে স্বল্প সময় বিনিয়োগ এবং নিজ মেধা ও যোগ্যতার সমন্বয়ে দ্রুততার সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনয়ন করে জীবীকার জন্য কাজ করার এ এক অতুলনীয় বিপনন পদ্ধতি । জীবীকা অন্বেষন ছাড়াও আমাদের যে আরও অনেক দায়িত্ব-কর্তব্য আছে – সমাজের ও জাতির প্রতি, তা উপলব্ধি করা যাবে একমাত্র এই পদ্ধতিতে কাজ করার মাধ্যমে ।

শৃঙ্খল থেকে এ জাতিকে মুক্ত করার সঠিক পন্থা এই ডাইরেক্ট মার্কে্টিং এবং সুবর্ন্ সময় এখনই । কেননা সারাবিশ্ব আজ এই পদ্ধতিকে আন্তরিকতার সঙ্গে আলিঙ্গন করে নিয়েছে । বাংলাদেশ যে খুব পিছিয়ে আছে তা নয় । ডেসটিনি আজ আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত একটি প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশে এখন সুপ্রতিষ্ঠিত । যদিও আসল যুদ্ধ এখনো বাকি- যে যুদ্ধে আমরাই হতে পারি অগ্রগামী সৈনিক । আমাদের তাই প্রচলিত ধ্যান-ধারনার জিন্জির থেকে নিজেদের মুক্ত করতে এই পদ্ধতির সঙ্গে একাত্নতা ঘোষনা করে ডেসটিনির পতাকাতলে আসীন হতে হবে । আর কালক্ষেপন নয় – আর পরাধীনতা নয় । এখন শুধু মুক্তির গান গাওয়ার সময় । এ মুক্তি মানসিকতার-এ মুক্তি প্রচলিত বাক্স ভেঙ্গে বের হয়ে আসার ।

একটি অফার মূল্যায়ন এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ।

জীবন যাপনের মান এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে বেসামাল একজন চাকুরীজীবী’র ভাবনাজুড়ে থাকে পদোন্নতি । ইস্ আমি যদি বস্ হতাম !
সে কখনও এই দুশ্চিন্তার বেড়াজাল ছিন্ন করতে পারে না । কেননা দব্যমূল্যের বল্গা হরিন কখনও পেছনে ফিরে তাকায় না । আবার গরীবের ঘরে ছেলেপুলে হওয়ার মতো নিত্য নতুন খরচের খাত কিভবে তৈরী হয় টের পাওয়া যায় না । তদুপরি; দুঃখের বিষয়, বসের উপরও বস্ থকে ।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ হয়ে যদি একটা প্রশ্নের সম্মুখীন করা হয় – আপনার জন্য দুটো অপশন, আপনাকে এই কোম্পানীর মালিক করা হবে অথবা একই কোম্পানীতে চাকুরী দেয়া হবে –আপনি কোনটা বেছে নিবেন ?
ভাই, আরেকবার ভেবে দেখুন –নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ হয়ে কুল ব্রেনে ! আপনার উপরে কেউ খবরদারী করবে ? নাকি, আপনি পুরো প্রতিষ্ঠানের বস্ হবেন ?
আরেকটু সরল করে দেই । ক্ষনিকের জন্য ধরে নিন, বিশাল গ্রুপ অব কোম্পানীজ –এর মালিক আপনার বাবা । বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে আপনি হাজির । বাবা আপনাকে একই প্রশ্ন করলেন – কিছু ভেবেছ ?
বিষয়টি অলীক । তবে কি হতো আপনার সিদ্ধান্ত ? আমাদের পরিস্থিতি ওরকম নয় সত্যি । আফসোস্ আমরা মনে করি, চাকরী ছাড়া উপায় নাই (গোলাম হোসেন !) । অর্থাৎ, আমাদের এখন তারচে’ খারাপ পরিস্থিতি ।
স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় ? পরিস্থিতির বিরূপতা হোক আর অভ্যাসের (মানসিক প্রতিবন্ধী) দোষ হোক – অধিকাংশই দ্বিতীয়ীটি বেছে নেবে !
তবে ভাই, আমি প্রথম অফারটি সম্মানজনক মনে করি এবং অবশ্যই পছন্দ করব । আপনার কেমন মনে হয় জানি না । চাকুরী শব্দটা শুনলেই আমার মাথার মধ্যে চলে আসে মালিক-গোলাম অথবা মনিব-চাকর ! কল্পনায় ভেসে ওঠে গলায় দড়ি বাঁধা একটা গরু, দড়ি হতে কেউ একজন হুকুম জারি করছে । বিষয়টা বাস্তবিক অর্থেই ভয়ঙ্কর রকম অপমানজনক এবং অমানবিক ।
নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন । কেননা আমিও পরিস্থিতির শিকার । যদিও আমার পরিস্থিতি সম্পূর্ন উল্টো । মন মানে না । কি করব ? মনকে কিভাবে বাগে আনতে হয় সে বিদ্যা শেখা হয়নি । কোনভাবেই চাকুরীকে পেশা হিসেবে ভাবতে পারিনা । যারা এ বিদ্যায় পারদর্শী তদেরকে সালাম ।
সুতরাং ব্যবসা করব সিদ্ধান্ত নিলাম । ব্যবসায়িক পরিবেশ এখন নৈতিকভাবে কলুষিত । অপর পক্ষকে না ঠকিয়ে নাকি ব্যবসা করা যায়না । মূলত প্রতিপক্ষকে অনৈতিকভাবে কোনঠাসা করে এবং স্টেকহোল্ডারদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে যুৎসইভাবে ঠকিয়ে তবেই না মুনাফা । অধিকাংশ ব্যবসা এখন এই নীতি এবং আদর্শে বলীয়ান হয়ে নির্লজ্জের মত মাথা উচিঁয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ।
আমি শুরু করলাম জগৎ শ্রেষ্ঠ এক ব্যবসা । সততা যেখানে সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা নয় –বরং একমাত্র পন্থা । অপরকে সহযোগীতা করে উপরে টেনে তোলাই যেখানে নিজের সফলতার ভিত্তি । পৃথিবীজুড়ে যার এখন জয় জয়কার –ডিরেক্ট সেলিং ।
এটা একা পরিচালনা করার মত ব্যবসা নয় । অনেককে সাথে নিয়ে একটা প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারীত্তের ভিত্তিতে এই ব্যবসা উন্নতির দিকে ধাবিত হয় । প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেছে নিলাম শ্রেষ্ঠ ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড –কে ।
আমার প্রানের প্রতিষ্ঠান ডেসটিনির বিরুদ্ধে একটা উদ্দেশ্য মহল বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত (সুনির্দিষ্ট নয় এমন),ষড়যন্ত্রমূলক, অতি কাল্পনিক,বানোয়াট অভিযোগ তোলার দুঃসাহস করেছে !
উদ্ভূত ঘোলাটে পরিস্থিতিতে অনেকে দাড়ি ছেঁটে,পাজামা-টুপি হারিয়ে ফেলেছে ! আমার অনেক শুভাকাঙ্খী আমাকে ওদের দলে এডমিশান নেয়ার নিয়তঃ পরামর্শ দিয়ে যচ্ছেন । আমিও গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখছি !
যাযাবরদের নির্দিষ্ট কোন বাসস্থান থাকে না – একেক সময় তারা একেক জায়গায় আস্তানা গাড়ে । তাদের চেয়ে একটু ভাল যাদের বাসা থাকে –তবে এত ঘন ঘন পাল্টায় যে ট্রেস করা মুশকিল । আজ মিরপুর তো কাল আজিমপুর । এরা আসলে আধুনিক যাযাবর । একজনের পাঁচ-ছয়টা সেল নাম্বার থাকার চেয়ে বিরক্তিকর আর কি হতে পারে ?
আজ এক কোম্পানী তো কাল আরেকটা । আজ যার গুনকীর্তন করছি তো কাল ছি! ছি! সামনে যাকে ইয়েস্ স্যার,পিছনে….! সবসময় একটা ভাল কোম্পাণী,একটা ভাল চাকুরী খোঁজার অন্তহীন প্রবনতা প্রমান করে – বর্তমান প্রতিষ্ঠান, বর্তমান বস্,বর্তমান পজিশান আসলে ভাল নয় ।
বাস্তবতা হচ্ছে – ইহ জিন্দেগীতে ভালোটা খুঁজে পাওয়া যাবে না । আরে ভাই – আর যাই হোক চাকরী তো ! বস্, মনিব, মালিক –ওনারা তো সর্বময় বিরাজমান ।
আমি ভাই অতিমাত্রায় অলস প্রকৃতির । এত ছোটাছুটি আমার সাধ্যে নেই । তাই যথাসাধ্য জেনে-বুঝে, ঠান্ডা মাথায় বিচার-বিশ্লেষন, যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।
আপনার নিশ্চই সেই স্লোগানটা মনে আছে –
“পদ্মা-মেঘনা-যমুনা,
তোমার আমার ঠিকানা ।”
আমারও ঠিকানা নির্দিষ্ট । মুসলমানের এক জবান আর কি ।
আমি – ডিরেক্ট সেলিং –ডেসটিনি আর মোঃ রফিকুল আমিন এখন আর আলাদা কোন চরিত্র নয় । আমরা একই আদর্শে, একই নীতিতে অগ্রসরমান । উদ্ভূত কৃত্রিমভাবে পরিবর্তিত প্রতিকুল পরিস্থিতিতে ডেসটিনি ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না । বরং কৃত্রিমতা যদি চূড়ান্ত রূপ নেয় – প্রতিষ্ঠান যদি বাজেয়াপ্ত হয়ে যায় (আল্লাহ্ না করুন,আমিন )-একই আদর্শে আরেকটা ডেসটিনির জন্ম দেব ইন-শা-আল্লাহ্ ।

Wednesday, January 2, 2013

উচ্চতর সরল সমাধান

জনৈক ব্যক্তি সর্বদা হাসিখুশী, চরম রিল্যাক্স থাকেন ।

একদিন তার সহকর্মী অবাক বিস্ময়ে প্রশ্ন করলেন, “ সত্যি করে বলুনতো, আপনি সাংসারিক জীবনে এতটা সুখী থাকেন কি করে ?”

সত্যিই জানতে চান ?

জানতে চাই মানে, আলবৎ । আরে ভাই ঘর ঠিক তো সব ঠিক । বলেন বলেন…

খুব সহজ ।

আপনার ভাবী যখন যা চায় বিনা বাক্যব্যয়ে তা সরবরাহ করি । ভুলেও হুকুম করিনা, না পারতে অনুরোধ করি !

ধরুন চা খেতে ইচ্ছা হোল, নিজে তৈরী করে আগে ওকে এক কাপ দেই, পরে নিজেরটা নিই ।
ভেজাল লাগার সম্ভাবনাই তো নাই ।
দোয়া করবেন ভাই….।

কৌতুকটি যেমনই হোক । যেখানে চাওয়া নেই সেখানে না পাওয়ার বেদনাও(ভেজাল) নেই । এটা একটা চরম শিক্ষা যা জীবনের সকল ক্ষেত্রে সন্দেহাতীত প্রযোয্য ।
যতটুকু প্রয়োগ করবেন ততটুকুই ফল পাবেন, ততটুকুই সুখী হবেন । সব ক্ষেত্রে করতে পারলে তো কথাই নাই, সুখ আর সুখ…আহ্ কি সুখ !!
আপনি কতটুকু প্রয়োগ করছেন সেটাই প্রশ্ন ।